আজ থেকে সপ্তাহজুড়ে একযোগে সারাদেশব্যাপী পালিত হয়েছে নদীর অধিকার, দখল ও দূষণরোধে “বাংলাদেশ রিভার রান/২০২২।
“সদা বহমান নদীর সাথে”
এই প্রতিপাদ্যকে বুকে ধারণ করে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লিন রিভার বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখার আয়োজনে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জামালপুর ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো “বাংলাদেশ রিভার রান/২০২২ (Bangladesh River Run” 2022 with the following Rivers) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নদী প্রকৃতির রাজপথ, বিশ্বের পরিবেশ-প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও প্রাণীর অস্তিত্ব রক্ষায় নদীর গুরুত্ব অপরিসীম।
আমাদের নিরাপদ পানির সংস্থান ও বাস্তুসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই নদী। সদা বহমান নদীর নেই কোনো ক্লান্তি, নেই কোন অবসর। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নদী চলেছে অবিরত।
কিন্তু তার বিপরীতে আমরা নদীকে কি দিচ্ছি ?
আমরা প্রতিনিয়তই নদীর দখল ও দূষণ করে যাচ্ছি। আমাদের গৃহস্থালী বর্জ্য থেকে শুরু করে আমরা সকল ধরনের বর্জ্য নদীতে ফেলছি। রাসায়নিক দ্রব্যের মত বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে ফেলে আমরা নদীকে প্রতিনিয়ত  করে যাচ্ছি দূষিত, নদীকে পরিনত করেছি ডাষ্টবিনে।
তাইতো বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বারের মত আজ ১৬ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর/২০২২ সপ্তাহজুড়ে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে একযোগে নদীর অধিকার ও দখল দূষণরোধে
 “বাংলাদেশ রিভার রান/২০২২”

 

“সদা বহমান নদীর সাথে”

 আমরা বাংলাদেশের সকল নদী প্রেমীরা, নদী পাড়ের মানুষেরা, আমাদের নিজ নিজ নদীর পাড়ে নদীর সাথে দৌঁড়ে অথবা হেঁটে জীবন্তস্বত্তা নদীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করবো এবং নদীকে জানিয়ে দিবো যে, নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার এবং যেখানে নদীর দখল, দূষণ হবে সেখানেই আমরা প্রতিবাদ করতে ছুটে যাবো। 

ক্লিন রিভার বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখার আয়োজনে নদীর দখল, দূষণ, প্রতিরোধ ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন-
মোঃ খোরশেদ আলম (ডিস্ট্রিক্ট ক্যাপ্টেন জামালপুর), ডা. মোঃ শফিকুল ইসলাম আজাদ খান (কো-ক্যাপ্টেন-ওয়ান), মোঃ বিলাত আলী (কো-ক্যাপ্টেন), মোঃ সাইদুর রহমান সাঈদ (কো-ক্যাপ্টেন), তামান্না আহমেদ (কো-ক্যাপ্টেন), রোজিনা (কো-ক্যাপ্টেন), শিরিনা খাতুন  (সদস্য), মোঃ আজিজুর রহমান (সদস্য), মোঃ সোহরাব হোসাইন (সদস্য), মোঃ কামরুল হাসান (সদস্য), মোঃ এরশাদ আলম (সদস্য), মোঃ শামীম হোসেন (সদস্য), মোঃ ফারুক হোসেন (সদস্য), মোঃ জুয়েল রানা (সদস্য), মিলন মিয়া (সদস্য), মোঃ বিজয় খান (সদস্য) প্রমুখ।
তারা নদীর সাথে তাদের সম্পৃক্ততা, নদীর প্রতি আস্থা ও সংহতি প্রকাশ করে এবং নদীর দখল, দূষণ প্রতিরোধের শপথ গ্রহণ করেন।